::::::::::::::::::::::::::::::::::Welcome Note:::::::::::::::::::::::::::

"সময়ের সিথানে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুমিয়ে থাকি কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে জেগে উঠি। একটা সময় ছিল আমার তখন ফড়িং জীবন ছিল। এখন তা বাক্স বন্দী অতীত। ফড়িং এর রঙিন পাখা গুলো এখন বিবর্ণ। কথা গুলো অর্থহীন প্রলাপ ... আচ্ছা প্রলাপ তো অর্থহীন ই হয়, তাই না? কিন্তু আমার যে আর কিছুই নেই... কিছু কল্পনা মেঘের কাছে জমা রেখে ছিলাম... একদিন মেঘ আমাকে কিছু না বলেই উড়ে গেল...আকাশের শেষ প্রান্তে... আমি দিগন্তের পর দিগন্ত ছুটে গেছি... আমার কল্পনার খোঁজে ... না পাইনি... ও তখন বৃষ্টি হয়ে..পাহাড়ের সাথে সন্ধি করে.. সমুদ্রের হয়ে গেছে... আমার তখন আর কিছুই নেই... হয়ত কিছু থাকতে নেই... আমি অন্যের আশ্রয়ে বেঁচে আছি এখন... অন্যের রঙে বিবর্ণ ছবি দেখি... এই নিয়ে আমার এই সাজানো বাড়ী..."

একটি যথাযথ মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাড়িয়ে!

একটি রঙিন সন্ধ্যার রাজপথ ধরে আমি এখনো হাটি
তোমার নির্মল নাজিফা হাতের বিপরীতে
অবিকল অতীত স্মৃতির ছায়ার হাতে হাত রেখে,
ঠিক তখনো অচেতন অনুভূতির মৃদু উৎসাহে
রাত্রী জমে না অন্ধকারে, নির্ঘুম শূন্যতার দেওয়াল ধরে

তুমি তো জানো
শহরের আট দশটি ছেলের মত আমি না,
আমার একটি সতন্ত্র পরিচয় আছে,
রয়েছে একটি নিরেট অনুভব !
কারণ আমি একজন কবি।

অনুভূতির প্রতিটি লৌহ কপাট ভেঙ্গে
আমি এক এক করে নির্দোষ কয়েদী শূন্যতাকে মুক্ত করি,
আমার প্রতিটি বাক্যের শব্দের যৌথ আর্তনাদে
নির্মান করি এক একটি বেওয়ারিশ কবিতা ।

কিন্তু তুমি বারে বারে কেন ভুলে যাও
আমি ও তো মানুষ !
আমার স্বপ্নের মাঝে আর কত দুঃস্বপ্নের ঘুম ভাঙ্গবে
এক একটি মধ্যরাতকে অনাকাঙ্খিত সকাল ভেবে।

আমি আর পারছি না,
তোমার স্মৃতির প্রতিটি কোলাহল জুড়ে
এখন অস্বাভাবিক স্থবিরতা !
শুভ্র বকুল লালচে বাদামী হওয়ার ভয়ে
প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দেই ঘড়ির কাঁটা।

সমুদ্রের কান্না বেয়ে এই মনে হয় ঝাপ দেই দূর আকাশে
নিঃসঙ্গতার অট্যহাসি সমস্ত রাত্রী হয়ে ফিরে আসে,
না ! এভাবে আর যাই হোক বেচে থাকা যায় না

আমি এখন ,
একটি যথাযথ মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাড়িয়ে !!