পৃথিবীতে এমন কিছু সৌন্দয্য আছে যাকে দেখার পাশাপাশি অনুভব করতে হয়। বৃষ্টিকে আমি ঠিক সেই রকমই মনে করি। বিধাতা এর মাঝে এমন কিছু পরিচ্ছন্ন অলংকরন এঁকে দিয়েছেন, ভাল না লেগে উপায় নেই। অনেকটা দুঃশাহস নিয়ে আমি আমার প্রথম বৃষ্টিতে ভেঁজার কথা মনে করি, কিন্তু সেই স্মৃতি আমার নিউরনের কোন অজানা অসীম গহবরে হারিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবুও বৃথা চেষ্টা করে যাই ভাবনা গুলোকে একটু উসকে দেবার জন্য। অসংখ্য নিউরন সেলের মধ্যে বৃষ্টি বন্দি কিছু সেল আমার চোখে এনে দেয় কিছু নির্মল ভেঁজা স্মৃতি। আমার সাড়া দেহ তখন কেমন যেন অদ্ভুদ অনুভবে আলোড়িত হতে থাকে।
এ্যালুমিনিয়ামের জানালার ওপাশে যখন আমার অনুভবের উপাদান গুলো আমার জন্য হাতছানি দেয় অবিরত... আমি তখন তাকিয়ে থাকি এপাশ হতে নিঃস্ফলক নয়নে । কংক্রিট এ বন্দী জীবনে কফির কাপে মৃদু চুমুক এর ফাঁকে এখনো হাত বাড়িয়ে ছুয়ে ইচ্ছে হয়, ওরা কি আগের মতই আছে। কতই না স্বার্থপরতা করেছি ওদের সাথে। যখন ইচ্ছের আকাশে ঘুড়ি হতে চেয়েছি তখন ওদের জড়িয়ে নিয়েছি আপন চিত্রে, আম্মুর বকুনির বিনিময়ে, স্কুল ফাঁকি দিয়েছি ওদের উপর দোষ চাপিয়ে, ইচ্ছে করে কত ছাতা হারিয়েছি ওদের অভিমানে, হাততলির কিছু ফিল্ডিং দিতে পেরেছি ইচ্ছৈ অনিইচ্ছেকৃত ভাবে আছাড় খেয়ে বৃষ্টি ভেজা মাঠে ।
সময় কেমন করে যেন সব পালটে দেয়, কিন্তু পালটাতে কি পারে অনূভুতির দাবি? হয়তো হ্যাঁ... কিংবা না !!