::::::::::::::::::::::::::::::::::Welcome Note:::::::::::::::::::::::::::

"সময়ের সিথানে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুমিয়ে থাকি কিংবা দুঃস্বপ্ন নিয়ে জেগে উঠি। একটা সময় ছিল আমার তখন ফড়িং জীবন ছিল। এখন তা বাক্স বন্দী অতীত। ফড়িং এর রঙিন পাখা গুলো এখন বিবর্ণ। কথা গুলো অর্থহীন প্রলাপ ... আচ্ছা প্রলাপ তো অর্থহীন ই হয়, তাই না? কিন্তু আমার যে আর কিছুই নেই... কিছু কল্পনা মেঘের কাছে জমা রেখে ছিলাম... একদিন মেঘ আমাকে কিছু না বলেই উড়ে গেল...আকাশের শেষ প্রান্তে... আমি দিগন্তের পর দিগন্ত ছুটে গেছি... আমার কল্পনার খোঁজে ... না পাইনি... ও তখন বৃষ্টি হয়ে..পাহাড়ের সাথে সন্ধি করে.. সমুদ্রের হয়ে গেছে... আমার তখন আর কিছুই নেই... হয়ত কিছু থাকতে নেই... আমি অন্যের আশ্রয়ে বেঁচে আছি এখন... অন্যের রঙে বিবর্ণ ছবি দেখি... এই নিয়ে আমার এই সাজানো বাড়ী..."

নিষ্পেষিত নগ্ন নিঃশ্বাস


এপিটাফ শূন্য অক্ষরে পরিপূর্ণ ভাবে লেখা হয়ে গেছে ... অথচ আমার মৃত্যু, এতটা সসময়ে ঘটবার কথা ছিল না... যাবতীয় অতীত গুলোকে দুঃস্বপ্নের সিনে আলট্রায় শুট করে কে বা কারা ‘ঘুম’ এর পরিবর্তে ‘নিদ্রা’ করে এর আগে "চির" শব্দ জুড়ে দিয়েছে.. ফলশ্রুতিতে কৌতূহলের ক্লাইম্যাক্সটা শব্দে আটকে থাকলো না, বাক্যে এসে দাঁড়ালো... শুধু দাড়িয়েই থাকলো না, বিড়বিড়ে ব্যথার অকারণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গেল...  ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড সব ঠিক... কিন্তু কোনদিন কি বার? তা মিস্টেক হয়ে গেল!! আনফরচুনেটলি আমার মৃত্যুবারটা সবার অজান্তেই একটা ‘লিপ উইক’ জন্ম দিয়ে গেল... সে সময় একটা সাবেরা সকালের আমার ভীষণ প্রয়োজন ছিল... একটা শালিক তখন সন্ধ্যার পিছু ধরে হাইওয়েতে হাঁটছিল... তো হাঁটছিল... আর পিছন ফেরে আমাকে ডাকছিল...

সিসটার !  আমাকে একটা সাদা কাপড়ে মুড়ানোর সময় টুকু দিন... প্লিজ ! জাস্ট সাদা পাতার মত মিহি সাদা কাপড়ে মুড়ানোর,আমি প্রথম কোন কবিতা লিখবো...কথা দিচ্ছি এরপর ফেনিল সাগরে একটা ব্যথার ঢেউ তুলে চলে যাব ... সিসটার.. সিসটা..

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

আজকাল নির্জনতা স্থির হয়ে থাকে মুখোমুখি বারান্দায়
যাবতীয় অভিমান জমে থাকে

ধুলো মাখা ঘড়িতে,
ক্যাকটাসের টবে,
জল শূন্য একুরিয়ামে...
অক্ষর বিহীন সাদা পাতায়...

অথচ,
দুপুরে প্রতিটি রোদ একটা ঘ্রাণ শুকে নেবার জন্য
অপেক্ষায় থাকতো... সাথে আমাকেও অপেক্ষায় রাখত

সাদা ব্লাউজের অমীমাংসিত কৌতূহলের উপর
কখনো সবুজে, কখনো নীলে... কিংবা
গোলাপি সুতা জড়ানো থাকতো..

মাঝে মাঝে
ছায়া ছায়া মেঘদের কারণে
বিজ্ঞাপন বিরতি ঘটতো

চুলেতে বাতাস দুলতো...
দোলাত আমার দৃশ লোক

স্নানের জল হবার সাহস দেখাতাম না
... তবে
ভীষণ তোয়ালে হতে ইচ্ছে করতো

সমস্ত দেহ থেকে ঝিল মিল রোদের ভেতর
ওপারের  বারান্দায় ঝরে ঝরে পড়তো চিত্রনাট্য,

দাড়িয়ে দেখতাম
একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ।

ডট এবং আমার অনুভূতি প্রকাশের ব্যর্থতা

কিছু কিছু অনুভূতি আছে যে গুলো প্রকাশ করবার মত আভিধানিক শব্দ নেই। খুব সম্ভবত শব্দ কল্পের স্বল্পতা অথবা নৈঃশব্দ্যের মাঝে মুগ্ধতা এর প্রধান কারণ। কিংবা আমার আবেগ সংযত করবার ব্যর্থতা।

মূলত আমি আজ একটি অসাধারণ সৃষ্টি কর্মের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য লিখছি…  শুধু মাত্র সামান্য একজন শ্রোতা হিসেবে…

আজ কাউকে মূল্যায়ন করতে বেশী কিছু লাগে না… অসাম, জোস, চরম, কঠিন, ব্রো সুপারর্ব… জানলেই হয়…  খুব দুঃখ জনক হলেও সত্য আমরা ভিন্নতার কথা বলতে বলতে ফেনা তুলে ফেলি.. ভিন্ন কিছু দাবী করি … অথচ আমরা  নিজেরাই অভিন্ন ভাবে মন্তব্য করি… ব্যাপারটা হাস্যকর..  একজন সৃষ্টিশীল মানুষ এর সাধনার বিষয় কে একটি ইংরেজি শব্দের দ্বারা নিঃশেষ করে দেই … আমি সংগীত এর কিছু বুঝি না.. যেটা শুনতে ভাল লাগে, গতানুগতিকতার বাইরে নতুন কথা সুর এর মাঝে  যখন নিজেকেই খুঁজে পাই তখনই সেটাকে আঁকড়ে নেই…

যে শিল্পতে মৌলিকত্ব নেই তাকে শিল্প না বলে পুরাণ গল্প বলাই শ্রেয়…বেশ কয়েক বছর যাবত এমন গল্পই শুনতে ছিলাম…  কারো গানের সাথে হিন্দি গানের মিল তো… কোন গানে আকাশ আর বাতাসে ভরপুর… বা কোনটা জান পাখি… টিয়া পাখি...  পাতলা লিরিকস্… লোল..

কিন্তু একটা অ্যালবাম আমার পুরো ধারণটাই পাল্টে দিয়েছে…

হ্যাঁ আমি পৃথ্বীরাজ এর ডট এর কথা বলছি… অ্যালবামটি আমাকে ভীষণ ভাবে ভাবিয়েছে… আমার মাঝে এক বোধ এর সঞ্চার করেছে… এক কথায় সমৃদ্ধ করেছে.. পরিশেষে আনন্দিত করেছে…
এ্যালবামের প্রতিটি গানের কথা, সুর এবং সংগীত , প্রচ্ছদ অনন্য… এবং প্রতিটি গানই একটা একটা কল্পনার জগত সৃষ্টি করে… আলোড়িত করে.. পরিশেষে কিছু লিখতে বাধ্য করেছে…. একজন সামান্য শ্রোতা হিসেবে...

একটা লক্ষণীয় ব্যাপার হল... অ্যালবামটিতে যারা কাজ করেছেন… তাদের সবার ছবি রয়েছে.. অথচ আমি খুব কম অ্যালবামেই দেখেছি মিউজিসিয়ানদের এই ভাবে তুলে ধরার ব্যাপারটা…  আসলেই তো অ্যালবাম তো আর গায়ক একাই করেন না… প্রত্যেকের সম্বলিত প্রচেষ্টাই গড়ে উঠে একটি সার্থক সৃষ্টি… আর অ্যালবাটির গীতিকার ইন্দ্রনীল'দা এর কথা নাই বললাম… পেছন থেকে শব্দে শব্দে… এক অবরুদ্ধ মায়ায়  কল্পে বেধে রেখেছি তিনি…  শুভকামনা তার জন্য



ও হ্যাঁ আমি আমার মুগ্ধতার কথা বলছিলাম, অনুভূতি প্রকাশের ব্যর্থতার কথা বলছিলাম…

মূলত আমাদের মূল্যবোধ গুলোই স্থবির হয়ে গেছে... বিকল বিবেকের পদত্যাগ আগে দরকার

খুব বেশী দিন আগের কথা না। কোন ব্লগ এর আয়োজিত বার্ষিক বনভোজনে অংশ গ্রহণের জন্য বাসা থেকে কাওরান বাজার উদ্দ্যশে রওনা দেই…ঐখানে পিকনিকের বাস অপেক্ষা করছিল। আমি খুব অলস, ঘুম থেকে খুব সহজে উঠতে পারি না… এমন কি এই ঘুমের কারণে কোন এক পাবলিক পরীক্ষায় ও ১০ মিনিট দেরী গিয়েছিল… প্লিজ কেউ ভাববেন না আমি বুক ফুলিয়ে কথা গুলো বলছি, আমি মোটেই গর্ব করছি না… আমি আমার সীমাবদ্ধতার কথা বলছি মাত্র। যথারীতি সেদিন ও ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়… যাত্রাবাড়ী থেকে বাস দিয়ে রওনা দিতে গেলে… আমার পিকনিক সবজী ব্যবসায়ী কিংবা অসাধু সিন্ডিকেট ওয়ালাদের সাথে করতে হত… তাই ভেবে ঠিক করলাম সি এন জি নিতে হবে… যাই হোক সি এন জি নিলাম…তবে মিটারে যাবে না… ১৫০ টাকা… দামাদামির সুযোগ ছিল না… ড্রাইভার আমার চোখে অস্থিরতা দেখে নিয়ে আশে পাশে তাকালও… কোন সি এন জি নাই… রহস্যময় এক হাসি হাসল… বললও ১৫০ টাকা গেলে যান না গেলে নাই… লাল রঙের একটা গামছা ডান কাঁধ থেকে বা কাঁধে রখে বলল… এর মাঝে সহ ব্লগার তথা ইউনিভার্সিটির বড় ভাইয়ের ফোন। এই জীবনে হাতে গোনা যে কয়টা ভাল মানুষ দেখছি তিনি তাদের মধ্যে একজন… ফোন ধরতেই বলে কই তুই? আমি বললাম এই তো আসতেছি… আর ১০ মিনিট… খুব ভাল ভাবেই যাচ্ছিলাম সাড়া রাস্তা… সকালের রাস্তা একদমই জাম নেই… হঠাত সি এন জি উল্টে গেলো… সাথে সাথে উল্টে গেল আমার সমস্ত চেতনা… খুব শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম সি এন জির সরু এবং চাপানো গ্রিল গুলোকে… সমস্ত পৃথিবী কোলাহল মুক্ত হয়ে যাচ্ছিল আমার কাছে..।।

পরিচিত রঙ কালো আমার কাছে ভীষন অচেনা হতে লাগলো… আচ্ছা কালোর তীব্রতা মোচন এর জন্যই কি মানুষ মারা যাবার পর সাদা কাপড়ে জড়িয়ে নেয়… না পশ্চিমারা তো কালো কাপড়ই জড়িয়ে নেয়… আমি ভেবে নিয়েছিলাম… আজ আমি ইশ্বরের সাক্ষাত পেয়ে যাব… ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যাই… নিজের চেষ্টাই বের হই… বের করি ড্রাইভারকে। বেচারার পায়ে অনেক আঘাত লেগেছিল… আর ফুফাতে ফুফাতে কাদছিল… শালা নে… আরো বেশী ভাড়া নে…

দুর্ঘটনার কারণ পাশাপাশি একটি বাস এবং সিএনজি যাচ্ছিল… বাস ক্রমশ সিএনজির পাশে চাপছিল এবং সামনের দিকে এগোচ্ছিল । সি এন জি বাসটিকে জায়গা করে দেবার জন্য আরো ডানে চাপছিল… আর ঠিক তখনই একটা প্রচণ্ড বেগে চলন্ত মাইক্রো সি এন জিকে আঘাত করে… চলে যায়… এই হল ঘটনা
আমার কারো প্রতি কোন অভিযোগ ছিল না… খুব অবাক লেগেছে এই ঘটনার ঘটার পড় আশে পাশের মানুষ হা করে দেখছে শুধু… কেউ এগিয়ে আসে নাই… বাস কিংবা মাইক্রো ও থামে নাই…

আমাদের মূল সমস্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কিংবা মন্ত্রী এমপি না… আমরা মানসিক ভাবে খুব অসুস্থ..ভীষণ. আমাদের আক্ষরিক অর্থে কোন মূল্যবোধ নাই… আমরা সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশী স্বার্থপর…তোষামোদকারী…সুযোগ সন্ধানী এবং নির্বোধ… আমারা যদি সত্যিই অনেক অশিক্ষিত এবং বোকা..যদি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষিত হতাম তবে এই সব অকর্মাদের এসির তলায় পুচ্ছদেশ ঠাণ্ডা করবার ব্যবস্থা করে দিতাম না…স্ফীত বক্ষ ধারী বেহায়া চাপাবাজ কোন মহিলাদের কোটে হট্টগোল করবার সুযোগ করে দিতাম না…মনুষ্যত্বের প্রতিটি স্তর এখন বিকল হয়ে গেছে..বিকল বিবেকের পদত্যাগ আগে দরকার…এরপর অন্যকিছু…।

আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!


আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!
যে বন্ধু উত্তাল সমুদ্রের অতল থেকে আমার
শেষ রাতের চাপা আর্তনাদের শব্দ শুনবে,
আমার বুকেতে মাথা রেখে আমার জীর্ণ মনের ক্ষুধা খুঁজবে,
প্রশান্তের নাবিক হয়ে আমায় বিশাল এ্যালবাট্রসের ছায়া ভেজাবে,

হ্যাঁ, আমার ঠিক সেই রকম একজন বন্ধু চাই, বন্ধু !

যে বন্ধু গোধূলির শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে একটি নবাগত প্রভাতের স্বপ্ন দেখাবে
ঘাস ফুল আর বিপন্ন শিশিরের শেষ কথোপকথনের অর্থ বুঝাবে,
বানিয়ে দেবে আমায় কলা পাতার ঐ আশ্চর্যজনক বাঁশি ,
ডিঙ্গি ভাসিয়ে শাপলা কুড়াতে নিয়ে যাবে পুকুরের ঐ মধ্যে খানে,

আমার ঠিক সেই রকম একজন বন্ধু চাই, বন্ধু !

যে বন্ধু আমায় ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাস শোনাবে,
বিশ্ব রাজনীতির সত্যিকারর ভাষা বুঝাবে
শিউলি আর সাদা ভাতের পার্থক্য শেখাবে...
মুঠোয় এনে দেখিয়ে দেবে পৃথিবীর সর্বশেষ বিস্ময় !!

আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!

যে বন্ধু প্রতি প্রভাতে কোরআনের আয়াত শুনিয়ে আমার খুব ভাঙ্গাবে
মানুষ আর মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির মন্ত্র শেখাবে,
আমার ঠিক সেই রকম একজন বন্ধু চাই, বন্ধু !

যে বন্ধু আমাকে দারিদ্রের একটি সর্বজন স্বীকৃত সংজ্ঞা দিবে
পুঁজিবাদ আর সমাজবাদের কারণ অকারণ বুঝাবে,
কর্পোরেট দুনিয়ার যান্ত্রিক মানুষ গুলোকে
একবারের জন্য হলেও জীবনানন্দ শোনাবে,

আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!

যে বন্ধু প্রতি রাতে আমায় নক্ষত্র সৃষ্টির রহস্য শোনাবে,
খসে যাওয়া তারার আর্তনাদের চিত্র একে দেবে
ঝি ঝি পোকার সেই বিস্ময়কর ভাষা শেখাবে,
একের পর রূপকথার গল্প শুনিয়ে আমায় ঘুম পাড়িয়ে দেবে

আমার ঠিক সেই রকম একজন বন্ধু চাই, বন্ধু !

যে বন্ধু আমার লিখা কবিতা গুলো একের পর এক আবৃত্তি করবে
গোলাপি জামদানী পড়ে আমার হাতে হাত রেখে চৈত্রে বৃষ্টি নামাবে,
আমার ধূসর স্বপ্ন গুলোতে নীল আলো জ্বেলে !

আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!

পুনশ্চঃ আমি একটি মায়াহীন জীবন কিংবা অনুভূতিহীন মৃত্যু চেয়েছিলাম



ইদানীং যতই রাত গভীর হচ্ছে চোখের পাতা গুলো ততই অঙ্কুরিত হচ্ছে,
অথচ এই পাতা একদিন কাব্যে পরিপূর্ণ ছিল...
অনাবিল উচ্ছ্বাস নিয়ে সমস্ত স্বপ্নের চাঁদরে জড়ানো ছিল...


হ্যাঁ যে কথা তোমাকে বলা বাকি ছিল,
সিগারেটের ধোয়ার সাথে সেদিন দুঃসম্পর্কের বাতাসের কথা হচ্ছিল...
কথা হচ্ছিল আকাশের সাথে অনশন রত কাফনের কাপড়ে জড়ানো মেঘদের,
অস্থির অমানিশায় অঙ্কুরিত চোখের পাতায় কিছু নীল নিহত হয়ে লাশ হয়ে ছিল,
নৈশব্দের ময়না তদন্তে কিছু অজ্ঞাত স্মৃতি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল,
অমীমাংসিত কিছু অনুভূতি কিছুক্ষন বর্ষায় ভিঁজেছিল
অতঃপর শূন্যতার নির্ঘুম বছর কারাদণ্ড হয়েছিল।


পুনশ্চঃ আমি একটি মায়াহীন জীবন কিংবা অনুভূতিহীন মৃত্যু চেয়েছিলাম

 

লিপ্ত বাসিত লহনা

শব্দের ব্যঞ্জনা দিয়ে
ততোটুকুই ব্যথিত হৃদয়ের পদ্য লিখা যায়
প্রেমিকার বিবর্ণ ঠোঁটে
যতটুকু পরিতৃপ্তির স্বাদ পাওয়া যায়...
অভিধান থেকে বিক্ষিপ্ত কিছু বিষাদী শব্দ কুড়িয়ে
কাব্য রচনা করা যায় বটে...
প্রক্ষিপ্ত অতীত নিবৃত্ত ভাবে
অদৃশ্য লাইনে তথাপি আচর গেরে রয়
তা চাইলেই কি মুছে ফেলা যায়?
বিপ্রতিপন্ন স্বপ্ন দেখে
নগ্ন নয়ন নোনা জলে আচ্ছাদিত হয়ে
কেবল নিজেকে আড়ালে রাখার উৎসাহ পায় মাত্র
আবেগের দুষ্ট দুঃশাসনে যখন অতিষ্ঠ এই হৃদয়
তখনও শিশির ভেজা ঘাস ফুল আমায় নতুন স্বপ্ন দেখায়
সদৃশ কিছু অনুভূতি তখন একীভূত হয়ত হয়!!
তবুও লিপ্ত বাসিত লহনা অদৃষ্টের পরিহাসের পাত্র
অতঃপর আমি হয়েছি বিব্রত!!

পরির্বতিত প্রচ্ছদপট কিংবা নৈশব্দের মৃত্যু


অবশেষে সাদা ক্যানভাস সেই শোকার্ত রঙের ভাষা বুঝবার ক্ষমতা ক্রমেই হারিয়ে ফেলে।
যতই দিন গড়ায় ততই নতুন শিল্পীর তুলির আঁচড়ে একটু একটু করে রঙিন হতে থাকে সাদা ক্যানভাস।
নির্মম হয় দৃশ্য-লোক, পরির্বতিত প্রচ্ছদপট।


সঙ্গমের প্রথম সংস্করণের স্বত্বাধিকারী তখন নীরব পাঠক।


সাদা ক্যানভাস রঙিন হবার আগেই
হঠাত একদিন নৈশব্দের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে,
তখন রাত্রির কোলাহলে শৃন্যতা জানাজা পড়ে

............একদিন বৃষ্টির দিন


পৃথিবীতে এমন কিছু সৌন্দয্য আছে যাকে দেখার পাশাপাশি অনুভব করতে হয়। বৃষ্টিকে আমি ঠিক সেই রকমই মনে করি। বিধাতা এর মাঝে এমন কিছু পরিচ্ছন্ন অলংকরন এঁকে দিয়েছেন, ভাল না লেগে উপায় নেই। অনেকটা দুঃশাহস নিয়ে আমি আমার প্রথম বৃষ্টিতে ভেঁজার কথা মনে করি, কিন্তু সেই স্মৃতি আমার নিউরনের কোন অজানা অসীম গহবরে হারিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবুও বৃথা চেষ্টা করে যাই ভাবনা গুলোকে একটু উসকে দেবার জন্য। অসংখ্য নিউরন সেলের মধ্যে বৃষ্টি বন্দি কিছু সেল আমার চোখে এনে দেয় কিছু নির্মল ভেঁজা স্মৃতি। আমার সাড়া দেহ তখন কেমন যেন অদ্ভুদ অনুভবে আলোড়িত হতে থাকে।

এ্যালুমিনিয়ামের জানালার ওপাশে যখন আমার অনুভবের উপাদান গুলো আমার জন্য হাতছানি দেয় অবিরত... আমি তখন তাকিয়ে থাকি এপাশ হতে নিঃস্ফলক নয়নে । কংক্রিট এ বন্দী জীবনে কফির কাপে মৃদু চুমুক এর ফাঁকে এখনো হাত বাড়িয়ে ছুয়ে ইচ্ছে হয়, ওরা কি আগের মতই আছে। কতই না স্বার্থপরতা করেছি ওদের সাথে। যখন ইচ্ছের আকাশে ঘুড়ি হতে চেয়েছি তখন ওদের জড়িয়ে নিয়েছি আপন চিত্রে, আম্মুর বকুনির বিনিময়ে, স্কুল ফাঁকি দিয়েছি ওদের উপর দোষ চাপিয়ে, ইচ্ছে করে কত ছাতা হারিয়েছি ওদের অভিমানে, হাততলির কিছু ফিল্ডিং দিতে পেরেছি ইচ্ছৈ অনিইচ্ছেকৃত ভাবে আছাড় খেয়ে বৃষ্টি ভেজা মাঠে ।

সময় কেমন করে যেন সব পালটে দেয়, কিন্তু পালটাতে কি পারে  অনূভুতির দাবি?  হয়তো হ্যাঁ... কিংবা না !!